স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমায় আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশের দরজায় কড়া নাড়ছে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’। আজ রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, দেশে এখন করোনা সংক্রমণের হার ২ শতাংশের নিচে। এরপরও আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো কারণ নেই। কারণ ঘরের দরজায় বিপজ্জনক ধরন ‘ওমিক্রন’ কড়া নাড়ছে। এই মুহূর্তে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। এগুলো নিশ্চিত করতে পারলে ‘ওমিক্রন’ হোক বা অন্য কোনো ধরন হোক তা আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, ‘ওমিক্রন’ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি। এক্ষেত্রে কমিউনিটিতে আমাদের সবার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ অংশগ্রহণ জরুরি। একই সঙ্গে অন্যকে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করা এবং সহায়তার মধ্য দিয়েই আমরা এ ভাইরাসটিকে শতভাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো বলে মনে করি।
আফ্রিকান দেশগুলো থেকে যারা আসবে, তাদেরকেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করতে হবে, বাকি দেশগুলোর বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কী ভাবছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আফ্রিকান দেশগুলোতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে বলেই তাদের জন্য বাড়তি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অন্য যেকোনো দেশেও যদি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়, তাহলে তাদের বেলায়ও আমরা একইরকম সিদ্ধান্ত নেব। কারণ হলো কমিউনিটি ট্রান্সমিশন আর ইমপরট্যান্ট কেইস কিন্তু এক নয়। আফ্রিকায় যেটি হয়েছে সেটি কমিউনিটি ট্রান্সমিশন, আর ইউরোপে যেটি হয়েছে সেটি ইমপরট্যান্ট কেইস।